skip to content
Sunday, June 16, 2024

skip to content
HomeCurrent NewsMaradona:'হ্যান্ড অফ গড' জার্সি নিলাম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে!

Maradona:’হ্যান্ড অফ গড’ জার্সি নিলাম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে!

Follow Us :

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল। মানেই যেন মারাদোনার বিশ্বকাপ। মেক্সিকোতে বসেছিল সেই আসর। আর সেবারই দেখা গিয়েছিল ‘গড অফ হ্যান্ড’। সেই গোল! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। দ্বিতীয় অর্ধের ৬ মিনিটের মাথায় মারাদোনার গোল। হেডে নয়, হাতে গোল! ঠিক তার ৪ মিনিট পর সেই বল পায়ে দৌড়। নিজেদের অর্ধ থেকে বল ধরে একের পর এক প্রতিপক্ষের বাধা টপকে এগিয়ে যেতে থাকেন। শরীরের দোলায় টলে যেতে থাকে সকলে, আর শেষ পর্যন্ত জালে জড়িয়ে ছিল বল। ফুটবলের যুবরাজের পায়ের জাদুতে সেদিন মেতেছিল গোটা বিশ্ব। আজও সেই গোলটি ভোটের বিচারে বিশ্ব ফুটবলের সেরা গোল হয়ে আছে।মারাদোনার সেই ম্যাচের ১০ নম্বর জার্সি আজ নিলামে উঠেছে।

আর নিলাম নিয়েই যত বিপত্তি।

সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন মিডফিল্ডার স্টিভ হজ। ম্যাচ শেষে নাকি মারাদোনার জার্সি তিনি পেয়েছিলেন। গত ১৯ বছর সেই জার্সি ছিল ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল মিউজিয়ামে। স্টিভ হজ ঘোষণা করেছেন, মারাদোনার সেই বিখ্যাত – ঘটনাবহুল জার্সি এবার নিলামে তুলছেন। ২০ এপ্রিল থেকে ৪ মে হতে চলেছে এক বড় অনলাইন নিলামের আসর।

এটা জানাজানি হতেই, শুরু হয়ে গেছে শোরগোল। লন্ডনের নামকরা নিলাম কর্তা মনে করছেন, এই জার্সির দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ( ৪ মিলিয়ন পাউন্ড) কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে! এমনটা দাবি করেছে লন্ডনের বিখ্যাত নিলামকারী সংস্থা সৌথবে।

সঙ্গে সঙ্গে মারাদোনার মেয়ে আর প্রাক্তন স্ত্রী সন্দেহ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এটা সেই ম্যাচের ‘ হ্যান্ড অফ গড ‘ গোলের জার্সি নয়! এটা নাকি প্রথম অর্ধে মারাদোনার পরে খেলা জার্সি! সেই বিখ্যাত দুটো গোল করা জার্সি নয়। হজ সেটাই পেয়েছিলেন।

মেট্রো রেডিওতে মারাদোনার মেয়ে দালমা বলেছেন, ‘ এটা সেই জার্সি নয়, যা আমার বাবা দ্বিতীয় অর্ধে পরে খেলেছিলেন।’ এই দাবি ওঠার পর, হেজের পরিকল্পিত নিলাম গেছে আটকে। আরও এমন কিছু বলেছেন, দালমা – তাতে বিতর্ক আর তীব্র হয়ে উঠেছে।মারাদোনার মেয়ে দাবি করেছেন, সেই জার্সি এই ইংল্যান্ড ফুটবলারের কাছে নেই। এবং তিনি জানেন, কার কাছে আছে এটি। ‘ আমি তার নাম বলবো না, কারণ তাতে পাগলামি শুরু হবে।’

এদিকে নিলামকারী সংস্থা জানিয়েছে , তারা ফটো ম্যাচিং টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন। এমনভাবে সব করা হয়েছে, যাতে জার্সির দাগ, ভাঁজ এমনকি নম্বর লেখার বিস্তারিত সব তথ্য তাদের হাতে। তাতে তারা নিশ্চিত – এটা সেই জোড়া গোলের জার্সি।

মারাদোনার প্রাক্তণ স্ত্রী ক্লদিয়া ভিল্লাফানে আবার নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, প্রাক্তণ এই ফুটবলারের সঙ্গে তাদের দেওয়া তথ্যের মিল নেই। উল্টে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ এমন ঐতিহ্যবাহি এমন একটি স্মারক বেচার দরকার কি?- যতদূর জানি তাঁর অর্থের তেমন প্রয়োজন নেই , যদি না ভালো কাজে লাগার জন্যে অর্থ সংগ্রহ করতে চান।’ ক্লদিয়া এসব বলেছেন ক্লারিন সংবাদপত্রের প্রতিনিধিকে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার উচিত এটি সংগ্রহ করে নেওয়া।’

দু ‘ বছর হয়ে গেছে কিংবদন্তি ফুটবলার মারাদোনার মারা গেছেন। কিন্তু তা সত্বেও পরিবার জুড়ে নানান কেচ্ছা – কেলেঙ্কারি আর আইনি লড়াই চলছেই। জার্সি নিলাম নিয়ে কে ঠিক আর কে বেঠিক – তাই বোঝা দুষ্কর। অনেকের মতে, মারাদোনার পরিবার জানতোই না এমন একটা স্মারক অন্য কারোর কাছে আছে। আর তার দাম নিলামে কোটি টাকার অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলবে বুঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিলামে জার্সি কেনা – বেচা বন্ধ করেই ফেলেছে।

ছবি:সৌ-টুইটার।

RELATED ARTICLES

Most Popular